10 Amazing Benefits of Using Perfume

 পারফিউম ব্যবহার করার ১০টি অসাধারণ উপকারিতা


পারফিউম ব্যবহার করার ১০টি অসাধারণ উপকারিতা


আজকে আপনাদের জানাবো পারফিউম ব্যবহার করার ১০ টি অসাধারণ উপকারিতা নিয়ে। পারফিউম এবং ডিওডরেন্টস আজকাল খুবই জনপ্রিয়, কারণ এগুলো আপনাকে শুধুমাত্র শরীরের দুর্গন্ধ থেকেই মুক্তি দেয় না, তার সাথে আপনার মনোবল বৃদ্ধি করে ও আপনাকে এনে দেয় গভীর আত্মবিশ্বাস। তাহলে চলুন আর দেরী না করে দেখে নেই পারফিউম ব্যবহার করার ১০টি  দারুণ উপকারিতা। 


১. সুবাস

পারফিউম ব্যবহার করার প্রধান কারণ হলো এর দারুণ সুগন্ধ। ঐতিহাসিকভাবে দারুণ সুবাস পাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে এই পারফিউম ব্যবহার করা হত। এটা শরীরের অবাঞ্ছিত দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দেয় এবং সুন্দর ঘ্রাণের মাধ্যমে পুরো দিন জুড়ে আপনাকে রাখে ফ্রেশ এবং কমফোর্টেবল।

২. মন ও মেজাজ রাখে প্রফুল্ল

পারফিউম ব্যবহার করার প্রথম ও প্রধান সুবিধা হলো এটি সুঘ্রাণ দান করার পাশাপাশি আপনার মন ভালো রাখে এবং মেজাজে প্রফুল্লতা দান করে। আপনি এমন সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মিলে যায় এবং সবার সামনে সুন্দরভাবে আপনার পার্সোনালিটি-এর প্রকাশ ঘটে। বিভিন্ন ধরনের পারফিউম বিভিন্ন সুঘ্রাণ যুক্ত হয়ে থাকে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন সুগন্ধযুক্ত পারফিউম বেছে নিতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলে যায়।

৩. কনফিডেন্স বৃদ্ধি করে

একটি একটি সুন্দর পোষাকের মত, একটি ভাল সুগন্ধি আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারে এবং আপনি নিশ্চিত থাকতে পারবেন যে এটি সারাদিন আপনার শরীরের সুগন্ধ ধরে রাখবে। তাই ভালো সুঘ্রাণ যুক্ত এবং ভালো কোম্পানির পারফিউম বাছাই করুন যাতে আপনার শরীরের গন্ধ নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করতে না হয় এবং আপনি সারাদিন কনফিডেন্ট থাকেন।

৪. আপনাকে আকর্ষণীয় করে তোলে

৫ ধরনের ইন্দ্রিয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্দ্রিয় হলো সেন্স অব স্মেল। কখনো কখনো এমনও হয় যে কেউ আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয় শুধুমাত্র আপনি কি ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করছেন তার উপর ভিত্তি করে। পারফিউম হলো ফেরোমনস (Pheromones) সমৃদ্ধ এবং আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এর কিন্তু কোন জুড়ি নেই।

৫. অ্যাফ্রোডিযিয়াক (Aphrodisiac) বা কামোদ্দীপক

অনেক পারফিউম কখনও কখনও একটি প্রাকৃতিক  কামোদ্দীপক বা অ্যাফ্রোডিজিয়াক হিসেবে কাজ করে থাকে। বিশেষ ধরনের কিছু সুগন্ধি তে কিছু ফেরোমনস বৈশিষ্ট্য থাকে যা অ্যাফ্রোডিজিয়াক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটা ব্যাখ্যা করে যে, আপনি যদি কারো প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন তাহলে সেটা এই ফেরোমনস বৈশিষ্ট্যের জন্য।

৬. স্বাস্থ্য উন্নত করে

তেমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যা নিশ্চিত করে যে সুগন্ধিতে স্বাস্থ্যকে উন্নত করার মত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে, পারফিউম বা সুগন্ধি মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে, যা চাপ এবং অন্যান্য উদ্বেগ থেকে মনকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং মনকে শান্ত রাখে। পছন্দের পারফিউম ব্যবহারে যে কোন মুহূর্তে মনটা ভালো হয়ে যায়, এর যেন একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে মনের সাথে। আবার, শরীর অসুস্থ থাকলেও কিন্তু পছন্দের পারফিউমের ঘ্রাণে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনে হয় শরীর যেন ঠিক হয়ে গেছে।

৭. স্মৃতি ধরে রাখে

পারফিউম বা সুগন্ধি শুভ স্মৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রিগার হতে পারে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় খুব কাছের কেউ একজন অনেকদিন যাবৎ একই পারফিউম ব্যবহার করে আসছেন, পরে সেই একই পারফিউম কাউকে ব্যবহার করতে দেখলে সেই আপনজনের কথা মুহূর্তেই মনে পড়ে যায়। আবার এমনও হয়, অনেক নারী আছেন যারা এমন পারফিউম ইউজ করেন যেটা তাদের মায়েরা ইউজ করতেন। তাই পারফিউম অনেক ক্ষেত্রে স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।

৮. অ্যারোমাথেরাপি

পারফিউম এর রয়েছে এক ধরনের রিলাক্সিং এবং সুগন্ধি থেরাপিউটিক সুবিধা। সাইট্রাস ফল, ফুল এবং শীতল মসলা জাতীয় পারফিউম এর রয়েছে মনকে শান্ত এবং শরীরকে শীতল করার এক ধরনের বিশেষ ক্ষমতা। এই পারফিউম আপনার মন এবং দেহ দুটোই শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

৯. অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে

কিছু বিশেষ সুগন্ধির থেরাপিউটিক প্রভাব আপনাকে রাতে ভাল ঘুম আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিছু অ্যাসেনশিয়াল অয়েল বা প্রয়োজনীয় তেল ধারণকারী পারফিউম আপনার মনকে শিথিল করে এবং রাতে একটি শান্তিপূর্ণ ঘুম উপভোগ করতে সাহায্য করে দারুণভাবে।

১০. মাথা ব্যথা নিরাময় করে

পারফিউম-এর এই ক্ষমতাটি এক আশ্চর্য! এটা পারফিউম-এর আরেকটি থেরাপিউটিক প্রভাব যা আপনার পারফিউম চয়েজ এবং ইউজ করার মাধ্যমে আপনার হেডেক (Headache) বা মাথা ব্যথা মুহূর্তেই নিরাময় করতে পারে। তবে যে সব সুগন্ধিতে প্রয়োজনীয় তেল রয়েছে এই আশ্চর্য বিষয়টি সেই সুগন্ধিতে প্রয়োজনীয় তেল রয়েছে এই আশ্চর্য বিষয়টি সেই সুগন্ধিগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।



সুতরাং, পরের বার যখন আপনি আপনার পছন্দমত সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহার করবেন তখন এটা মনে রাখবেন যে, এটা শুধু আপনাকে ভালো ফ্র্যাগরেনস দিবে তা-ই নয়, এটা আপনার মুড-কে ভালো রাখতেও সাহায্য করবে এবং কাজেকর্মে এক ধরনের উৎফুল্লতা এনে দিবে। তাই, সবসময় নিজের পছন্দ, ব্যক্তিত্ব এবং বয়স অনুযায়ী পারফিউম বাছাই করুন। এমন কোন সুগন্ধি ব্যবহার করা ঠিক নয় যা আপনাকে মানুষের কাছে হাসির পাত্র করে তোলে, কারণ পারফিউম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়স, স্থান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
Previous Post Next Post